তাদের ‘এমনি এমনি’ থিওরী আপনার চিন্তাগত বিকাশের অন্তরায়– না তো!?
কেননা নাস্তিকদের জ্ঞান যদ্দূর পৌঁছায়– তারপর থেকে শুরু হয় তাদের ‘এমনি এমনি’ থিওরী। যেমন-
→ বিশ্বজগৎ সৃষ্টি হয়েছে কীভাবে?
–এমনি এমনি।
→ সর্বপ্রথম প্রাণ সৃষ্টি হয়েছে কীভাবে?
–এমনি এমনি।
→বিশ্বজগৎ এত নিখুঁতভাবে কে
পরিচালনা করছে?
–কেউ না, এমনি এমনি।
→ ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনের এই মানুষ
সৃষ্টি হয়েছে কীভাবে?
–কারো হস্তক্ষেপ ছাড়া, এমনিতেই।
→সবকিছুর অস্তিত্বে আসার পিছনে
উদ্দেশ্য কী?
–কিছুনা, এমনি এমনি।
→ইত্যাদি ইত্যাদি আরও কতো কী!
–’মধ্যাকর্ষন শক্তি’–
যার বলে উপর থেকে সবকিছু নিচে পড়ে। অথচ এই বিষয়টা মানুষ পৃথিবীর শুরু লগ্ন থেকে দেখে এসেছে।
যাকে প্রতিনিয়ত অনুভব করেছে। কিন্তু কখনো পাত্তা দেইনি। রীতিমত ধাক্কা দিয়ে সে বলেছে, হে মানুষ! আমি মধ্যাকর্ষণ। কিন্তু অজ্ঞতার কারণে ধাক্কার অনুভূতিকে একরকম উপেক্ষা করেই মানুষ ভেবেছে, এমনি এমনিই হয়তো সবকিছু উপর থেকে নিচে পড়ে! হয়তো এটাই প্রকৃতির নিয়ম!! জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে সেটা হয়ে গেল প্রকৃতির নিয়ম। হয়ে গেল জ্ঞানের
প্রান্তসীমা।
– নিউটনও যদি তাদের পাল্লায় পড়ে ভাবতো- উপর থেকে সবকিছু ‘এমনি এমনিই’ নিচে পড়ে এর পিছনে কোন কারণ নেই। কোন রহস্য নেই। তাহলে কি আমরা আজ Gravitational Force এর ব্যাপারে জানতে পারতাম!? নিউটন যদি সেদিন এমনি এমনি থিওরীতে বিশ্বাস করতো তাহলে সেখানেই তার চিন্তা সীমাবদ্ধ হয়ে
যেত। আজ আমরা বাস্তবতার সম্মুখীন হতে পারতাম না। পেরেছি কেবল চিন্তার স্বাধীনতা ছিলো বলে, সুতরাং এমনি এমনি থিওরী যাতে কাউকে চিন্তা প্রতিবন্ধী করে না দেয়।
সত্যমনা লেখক-
Robiul Islam.
অসাধারণ ❤️❤️
উত্তরমুছুনজাজাকাল্লাহ খাইরান ভাই।
উত্তরমুছুন