প্রশ্নোত্তরে সত্যমনা (৮)
প্রশ্ন: আল্লাহই যদি হেদায়েত দান করেন এবং আল্লাহই পথভ্রষ্ট করেন। এতে মানুষের তো কোন হাত নেই, তাহলে মানুষ কেন শাস্তি ভোগ করবে?
• আল্লাহ যাকে সৎপথে চালান, সেই সৎপথ প্রাপ্ত এবং তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন, আপনি কখনও তার জন্যে পথপ্রদর্শনকারী ও সাহায্যকারী পাবেন না। [২]
অর্থাৎ আল্লাহই তো হেদায়েতের মালিক, গোমরাহ করার মালিক। যাকে ইচ্ছা হেদায়েত দেন আর যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন। এখানে আমাদের তো কোন হাত নেই।
হ্যা অবশ্যই, এই আয়াতগুলোর উদ্দেশ্য এটা বুঝানো যে, হেদায়েতের মালিক একমাত্র আল্লাহ। তিনি ছাড়া কেউ হেদায়েত দিতে পারেন না। এমনকি স্বয়ং রসূলও না। তবে এতে সংশয় ছড়ানোর কিছু নেই। কারণ সৃষ্ট সব কিছুই স্রষ্টার অধিনে থাকবে। এটাই স্বাভাবিক।
❝(হে আল্লাহ) আমাদের সরল পথের দিকে পথ প্রদর্শণ করো।❞ [৩]
আর আল্লাহ শিখিয়ে দিয়েই ক্ষ্যান্ত থাকেন নি বরং অনেক জায়গায় বান্দাকে চাওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছেন –
❝তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক। আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব।❞ [৪]
সুতরাং হেদায়াত আল্লাহই দান করেন। যে আল্লাহর কাছে হেদায়েত চায় তাকেই দান করেন। কাউকে আল্লাহ তার রহমত থেকে নিরাশ হতে নিষেধ করেছেন। এটা সমস্ত মানুষের জন্য নিষিদ্ধ [৫]
কারণ যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ আল্লাহর কাছ থেকে নিরাশ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে তার হেদায়েত কামনার ইচ্ছা থাকবে। বান্দাকে হেদায়েত দেয়ার জন্যই আল্লাহ নিরাশ হওয়ার দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন। যাতে মানুষ মৃত্যুর পূর্বে হলেও ফিরে আসে। চাই সে যতবড় পাপী-ই হোক না কেন! আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ সব মাফ করে দিবেন।
দ্বিতীয়ত, আল্লাহ কারো ঈমান নষ্ট করেন না।
❝আল্লাহ এমন নন যে, তোমাদের ঈমান নষ্ট করে দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ, মানুষের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল, করুনাময়।❞ [৬]
❝আর আল্লাহ গোমরা করেন তাদেরকে যারা আল্লাহর নিদর্শন পাওয়ার পরও তা গোপন করে।❞ অর্থাৎ আল্লাহর অস্তিত্বকে জেনে বুঝে অস্বীকার করে। [৭]
❝অতএব, এ আল্লাহই তোমাদের প্রকৃত পালনকর্তা। আর সত্যের পরে গোমরাহী ছাড়া আর কী বা রয়েছে ? সুতরাং কোথায় তোমরা ঘুরপাক খাচ্ছো?❞ [৮]
COMMENTS