এই স্লোগানটির প্রচার-প্রসার হয়েছে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক ময়দান থেকে। উদ্দেশ্য একটাই তারা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার থেকে কাঙ্ক্ষিত ভোটটি হাতিয়ে নিতে চায় এই দুষ্টু-মিষ্টি স্লোগান দিয়ে।
কিন্তু তারা কি জানে এটা কোন ধর্মেই জাস্টিফাইড না। কোন ধর্মের অনুসারীরাই তা মেনে নিবে না। কেননা তা স্পষ্টত ধর্মের বিকৃতি। ধর্মের নামে কুসংস্কার।
ইসলাম ধর্মে মুর্তি পূজা করা শিরক। তাতে অংশগ্রহণ করাও শিরক। আর শিরক করার মাধ্যমে একজন মুসলমান মুশরিক হয়ে যায়। অথচ হিন্দুদের কাছে তা ধর্মীয় উৎসব। অতএব উক্ত উৎসবে মুসলমানকে আমন্ত্রণ জানানো আর তাকে কৌশলে ধর্ম ত্যাগের আহবান করা একই কথা। কেননা তাদের উৎসবে শরীক হওয়া মানে শিরকী কাজে লিপ্ত হওয়া।
অনুরূপ একজন হিন্দু খ্রিস্টান বোদ্ধ যাই হোক না কেন তারা মুসলমানদের উৎসবে শরীক হওয়ার মানে নিজেদের ধর্মীয় মূলনীতির বহির্ভূত কাজে লিপ্ত হওয়া। কারণ সবার চোখে ধর্ম স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা নয়। ধর্ম সত্য মিথ্যার মানদণ্ড।
আপনি কি বলবেন- ধর্ম যার যার কিন্তু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সবার! রমজানের রোজা সবার!
কিংবা বলবেন - ধর্ম যার যার মন্দির-গির্জা সবার! ইত্যাদি ইত্যাদি।
তাহলে কেন ধর্ম যার যার উৎসব হবে সবার!
প্রত্যেকের-ই নিজ ধর্ম পালন ও ধর্মীয় উৎসব উৎযাপনের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। ইসলামও আমাদেরকে এটাই বলে। তবে সত্যের সাথে মিথ্যাকে গুলিয়ে ফেলার অনুমতি ইসলামে নেই।
অনেক মনে করে থাকে 'অন্যের উৎসবে শরীক না হওয়া' এটা সাম্প্রদায়িকতা। তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলবো- আপনি কাল্পনিক জগৎ ছেড়ে বাস্তবিক জগতের ফিরে আসুন। কেননা সাম্প্রদায়িকতাকে এই সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করলে পৃথিবীর কোন মানুষ- অসাম্প্রদায়িক থাকবে না।
কেননা তাহলে কোন হিন্দু মুসলমানের নামাজে এসে শরীক না হলে, সে হবে সাম্প্রদায়িক। কোন মুসলমান হিন্দু খ্রিস্টানের অনুসরণে মন্দির-গির্জায় না গেলে, হবে সাম্প্রদায়িক।
বিএনপির মিসিলে আওয়ামী লীগ শরীক না হলে কিংবা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে ইসলামি আন্দোলনের অংশগ্রহণ না থাকলে তারা হবে সাম্প্রদায়িক। আর নাস্তিকরা সেক্যুলাররা তো কোন ধর্মীয় উৎসব- পালন না করার কারণে হবে সবচেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী।
অতএব ধর্ম যার যার উৎসব সবার নয়। বরং ধর্ম যার যার উৎসবও তার তার।
সত্যমনা লেখক-
Robiul Islam.
COMMENTS