ছোট থেকেই তিনি ইসলামের প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করতেন। সেখান থেকেই ইসলাম সম্পর্কে তার কটাক্ষমূলক লিখনির যাত্রা শুরু হয়। তার লিখনিতে গঠনমূলক পর্যালোচনার চাইতে কটাক্ষের পরিমাণ খানিকটা বেশি হওয়ায় মুসলমানদের মনে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। যার ফলে তাদের কঠোর আন্দোলনের মুখে পড়ে তিনি দেশ ত্যাগ করেন।
এরপর থেকেই তার লিখনিতে কটাক্ষের পরিমাণ এতটাই বেড়ে যায় যে, তিনি ইসলাম বিদ্বেষী হুজুর বিদ্বেষী পুরুষ বিদ্বেষী নামে আখ্যা পান।
তাসলিমা নাসরিন এর কটাক্ষমূলক মন্তব্য এতটাই অর্থহীন যে অমুসলিমরাও তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে। একটি উদাহরণ:
সাম্প্রতি তাসলিমা নাসরিন ইংলেন্ডের ক্রিকেটার মুঈন আলীকে স্রেফ তার মুসলিম হওয়া ও ইসলামী রীতিনীতি ফলো করার কারণে টুইটারে তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন– ‘মঈন আলী ক্রিকেট না খেললে সিরিয়াতে গিয়ে আইএসআইয়ের সঙ্গে যোগ দিত।’
ক্রিকেটার জফরা আর্চার তাকে উদ্দেশ্য করে পাল্টা টুইট করে বলেন - “আপনি কি সুস্থ? আমার মনে হয় না আপনি সুস্থ।“
রায়ান সাইডবটম তার টুইটে তাসলিমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন- “আমার মনে হয় আপনার দেখা উচিৎ আপনি সুস্থ কিনা? আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করার কথাও ভাবতে পারেন।“
বেন ডাকেট তো টুইটারের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন- “টুইটারের সমস্যা এটাই। মানুষ এ ধরণের কথাও সেখানে বলতে পারে। টুইটটি (তসলিমার) রিপোর্ট করুন।“ [১]
এটাই হলো তাসলিমা নাসরিনের সমালোচনার ধরন। যা কোন সুস্থ মানুষ হজম করতে পারে না। আর তিনি যে প্রকৃতপক্ষেই একজন বিদ্বেষী মনোভাবা লেখিকা তা তাদের নিজের লোকদের থেকেও স্বীকৃত।
উক্ত ইস্যুতে প্রখ্যাত নারী অধিকার কর্মী কবিতা কৃষ্ণান, যিনি অল ইন্ডিয়া প্রগ্রেসিভ উইমেন অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি, তসলিমার তীব্র সমালোচনা করে টুইট করেছেন - “একজন লেখক হিসাবে নয়, একজন যুক্তিবাদী এবং নারীবাদী হিসাবে নয় - ভবিষ্যতে আপনি (তসলিমা) বিবেচিত হবেন একজন গোঁড়া বিদ্বেষী হিসাবে।“ [১]
তাসলিমা নাসরিনের বিদ্বেষী হওয়া ও মানসিক সুস্থতা নিয়ে সন্দেহের বিষয়গুলো আরও স্পষ্ট হবে আমার পরবর্তী লেখাগুলোতে। কারণ তার লেখালেখির সিংহভাগই এমন।
আমরা তার লেখাগুলো নিয়ে ধারাবাহিকভাবে 'তসলিমা নাসরিন সমাচার' এই শিরোনামে লিখে যাব ইনশাআল্লাহ।
এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুনএই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুন