কখন কোন দোয়া পড়তে হয় সে সম্পর্কে অনেকের জানার আগ্রহ থাকে। আপনারা অনেকে "কোন দোয়া পড়লে কি হয়" বা "কোন দোয়া পড়লে আল্লাহ্ খুশি হন" লিখে সার্চ করে থাকেন। আজকে আমরা দোয়া ও রুকইয়াহ নিয়ে বিস্তারিত আলচনা করবো। তবে আপনারা চাইলে আমরা দোয়া ও আমল সংক্রান্ত এই সিরিজ আরও কয়েকটি পর্বে লিখে যাবো। তাহলে চলুন আমরা কোন সময় কোন দোয়া পড়তে হয় তা জেনে নেই।
টয়লেটে ঢুকার সময় দোয়া / টয়লেটে বা বাথরুমে প্রবেশের দোয়াআনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বাথরুমে ঢুকার সময় বলতেন -
بِسْمِ اللَّهِ، اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ
বিসমিল্লা-হ, আল্লা-হুম্মা, ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল খুবুছি ওয়াল খাবা-ইছ
আল্লাহ্র নামে। হে আল্লাহ্! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই পুরুষ ও নারী শয়তান থেকে।
আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেনঃ তোমাদের কেউ যখন প্রকৃতির ডাকে নির্জনস্থানে গমন করে তখন জিনদের চক্ষু থেকে আদম-সন্তানদের গুপ্তাঙ্গের আবরণ হলো “বিসমিল্লাহ” বলা।
রেফারেন্স: বুখারীঃ ১৪২
টয়লেট / বাথরুম থেকে বের হওয়ার দোয়া
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) টয়লেট থেকে বের হওয়ার সময় বলতেন
غُفْرَانَكَ
গুফরা-নাক
আপনার ক্ষমা প্রার্থনা করি।
আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইস্তিঞ্জা শেষে বেরিয়ে আসলে এ দোয়াটি বলতেন।
রেফারেন্স: সহীহ। আবু দাউদঃ ৩০
ওযূর পূর্বের যিক্র | ওযুর আগে কোন দোয়া পড়তে হয়?
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ‘বিস্মিল্লাহ্’ বলবে না তার ওযূ হবে না’।
بِسْمِ اللَّهِ
বিসমিল্লা-হ
আল্লাহ্র নামে
রেফারেন্স: ইরওয়াউল গালীল ১/১২২, ইবন মাজাহ্ নং ৩৯৭
ওযূর পরের যিক্র | ওযুর পরে কোন দোয়া পড়তে হয়?
ওযূ করে এবং যথাযথভাবে তা সম্পন্ন করে বলতে হবে -
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ
আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া‘হদাহু লা-শারীকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মু‘হাম্মাদান ‘আবদুহু ওয়া রাসূলুহু
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া কোনও হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (ﷺ) তাঁর বান্দা ও রাসূল।
উকবা ইবনে আমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, “যদি কেউ সুন্দরভাবে এবং পরিপূর্ণভাবে ওযূ করে এরপর উক্ত যিক্র পাঠ করে তাহলে জান্নাতের আটটি দরজাই তার জন্য খুলে দেওয়া হবে, সে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা করবে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।
রেফারেন্স: মুসলিমঃ ২৩৪, ৫৭৬
নিজের ব্যথার জন্য দোয়া | ব্যথা কমানোর দোয়া
৩ বার বলবে -
بِسْمِ اللَّهِ
বিসমিল্লা-হ
আল্লাহ্র নামে। (তিন বার)
৭ বার বলবে -
أَعُوْذُ بِاللَّهِ (بِعِزَّةِ اللَّهِ) وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ
আ’ঊযু বিল্লা-হি (দ্বিতীয় বর্ণনায়: আঊযূ বি’ইয্যাতিল্লা-হি) ওয়া ক্বুদরাতিহী মিন শার্রি মা- আজিদু ওয়া উ’হা-যির
আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি আল্লাহ্র (দ্বিতীয় বর্ণনায়: আল্লাহ্র মর্যাদার) ও তার ক্ষমতার, যা আমি অনুভব করছি এবং ভয় পাচ্ছি তা থেকে।
উসমান ইবন আবিল আস (রাঃ) বলেন, তার শরীরের ব্যাখ্যার কথা তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে জানান। তিনি বলেন: তোমার শরীরের যে স্থানে ব্যাথা সেখানে তোমার হাত রাখ এবং তিন বার বিসমিল্লাহ এবং সাত বার এ দোয়াটি বল। (দোয়াটি উপরে উল্লেখিত হয়েছে)
রেফারেন্স: মুসলিমঃ ২২০২, সহীহ। আবু দাউদঃ ৩৮৯১
ব্যথার জন্য দোয়া | ব্যথা কমানোর উপায়
তিনবার বিসমিল্লাহ্ বলার পর সাতবার বলবে -
أَعُوْذُ بِعِزَّةِ اللَّهِ وَقُدْرَتَهٖ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ مِنْ وَجَعِي هٰذَا
আ‘উযু বি’ইয্যাতিল্লা-হি ওয়া ক্বুদরাতিহী মিন শার্রি মা- আজিদু মিন ওয়া-জা’য়ী হাযা
আমি আল্লাহ তা’আলার মর্যাদা এবং তাঁর কুদরতের আশ্রয় নিচ্ছি ওই ব্যথার কষ্ট থেকে, যা আমি অনুভব করছি।
রেফারেন্স: সহীহ। তিরমিযীঃ ৩৫৮৮
ব্যথার জন্য দোয়া | ব্যাথা কমানোর দোয়া
সাতবার পড়তে হবে
أَعُوْذُ بِعِزَّةِ اللَّهِ وَقُدْرَتِهٖ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ مِّنْ شَرِّ مَا أَجِدُ
আ’ঊযু বি’ইয্যাতিল্লা-হি ওয়া ক্বুদরাতিহী আলা- কুল্লি শাইয়িন মিন শার্রি মা- আজিদু।
আমি আল্লাহ তা’আলার মর্যাদা এবং সকল বস্তুর উপর তাঁর কুদরতের আশ্রয় নিচ্ছি ওই ব্যথার কষ্ট থেকে, যা আমি অনুভব করছি।
রেফারেন্স: সহিহ লিগাইরি। সিলসিলাতুস সহিহাহ ১৪১৫
নিজের ও অন্যের রোগ মুক্তির দোয়া | রোগ মুক্তির জন্য দোয়া
সূরা ইখলাস বাংলা অর্থসহ
بِسْمِ اللَّـهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
قُلْ هُوَ اللَّـهُ أَحَدٌ ﴿١﴾ اللَّـهُ الصَّمَدُ ﴿٢﴾ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ ﴿٣﴾ وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ ﴿
বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহি-ম। (১) ক্বুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। (২) আল্লা-হুস্ সামাদ। (৩) লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। (৪) ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ
পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহ্র নামে। (১) বল, তিনিই আল্লাহ্, এক-অদ্বিতীয়। (২) আল্লাহ্ কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী। (৩) তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি। (৪) আর তাঁর কোন সমকক্ষও নেই। (সূরা ইখলাসঃ ১-৪)
সূরা ফালাক বাংলা অর্থসহ
بِسْمِ اللَّـهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ﴿١﴾ مِن شَرِّ مَا خَلَقَ ﴿٢﴾ وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ ﴿٣﴾ وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ ﴿٤﴾ وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ ﴿٥﴾
বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহি-ম। (১) ক্বুল আ‘উযু বিরব্বিল ফালাক্ব। (২) মিন শাররি মা- খালাক্ব। (৩) ওয়া মিন শাররি গা-সিক্বিন ইযা- ওয়াক্বাব। (৪) ওয়া মিন শাররিন নাফফা-সা-তি ফিল ‘উক্বাদ। (৫) ওয়া মিন শাররি 'হা-সিদিন ইযা- 'হাসাদ
পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহ্র নামে। (১) বল, ‘আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার রবের কাছে, (২) তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, (৩) আর রাতের অন্ধকারের অনিষ্ট থেকে যখন তা গভীর হয়, (৪) আর গিরায় ফুঁ-দানকারী নারীদের অনিষ্ট থেকে, (৫) আর হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে’। (সূরা ফালাকঃ ১-৫)
সূরা নাস বাংলা অর্থসহ
بِسْمِ اللَّـهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ﴿١﴾ مَلِكِ النَّاسِ ﴿٢﴾ إِلَـٰهِ النَّاسِ ﴿٣﴾ مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ ﴿٤﴾ الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ ﴿٥﴾ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ ﴿٦﴾
বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহি-ম। (১) ক্বুল ‘আউযু বিরাব্বিন্না-স। (২) মালিকিন্না-স, (৩) ইলা-হিন্না-স, (৪) মিন শাররিল ওয়াসওয়া-সিল খান্না-স, (৫) আল্লাযি ইউওয়াসউইসু ফী সুদূরিন্না-স, (৬) মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-স
পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহ্র নামে। (১) বল, ‘আমি আশ্রয় চাই মানুষের রব, (২) মানুষের অধিপতি, (৩) মানুষের ইলাহ-এর কাছে, (৪) কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট থেকে, যে দ্রুত আত্মগোপন করে। (৫) যে মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দেয়। (৬) জিন ও মানুষ থেকে। (সূরা নাসঃ ১-৬)
আয়েশা (রাঃ) বলেন: “রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অসুস্থ হলে তিনি মুআওয়িযাত সূরাগুলো (ইখলাস, ফালাক ও নাস) পাঠ করে নিজের দেহে ফুঁক দিতেন এবং নিজের হাত নিজ দেহে বুলাতেন। দ্বিতীয় বর্ণনায়: তাঁর পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে তিনি এ সূরাগুলো পাঠ করে তাকে ফুঁক দিতেন এবং নিজ হাত তার দেহে বুলাতেন। তিনি তাঁর ওফাতের পূর্বে যখন অসুস্থ হলেন তখন আমি নিজে সূরাগুলো পড়ে তাকে ফুঁক দিতাম এবং তাঁর নিজের হাত দিয়ে তাঁর দেহ মাসহ’ করতাম (বুলাতাম)।”
আমরা ইতোপূর্বে রাত্রে বিছানায় শয়নের সময় নিয়মিত যিক্রের মধ্যেও এভাবে সূরাগুলো পাঠ করার কথা জেনেছি।
রেফারেন্স: বুখারীঃ ৫৭৩৫
অসুস্থ ব্যক্তির জন্য দোয়া | রোগ মুক্তির আমল
أَذْهِبِ الْبَأْسَ رَبَّ النَّاسِ، وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِي، لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ، شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا
আযহিবিল বা-'স, রাব্বা না-স, ওয়াশফি আন্তা আশ-শাফি, লা-শিফা-আ ইল্লা- শিফা-উকা। শিফা-আন লা-ইউগা-দিরু সাক্বামা
হে মানুষের প্রতিপালক! তুমি রোগ দূর করে দাও এবং আরোগ্য দান করো। তুমিই তো আরোগ্যদানকারী, তোমার আরোগ্য ভিন্ন আর কোন আরোগ্য নেই, এমন আরোগ্য দাও, যারপর কোন রোগ থাকে না।
নবী (ﷺ) তাদের (তার স্ত্রীদের) কাউকে ঝাড়ার সময় ডান হাত দিয়ে মাসাহ্ করতেন এবং বলতেন, (দোয়াটি উপরে উল্লেখিত হয়েছে)
রেফারেন্স: বুখারীঃ ৫৬৭৫
বিষাক্ত দংশন-এর দোয়া
সূরা ফাতিহা - বাংলা অর্থসহ
بِسْمِ اللَّـهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ ﴿١﴾ الْحَمْدُ لِلَّـهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ﴿٢﴾ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ ﴿٣﴾ مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ ﴿٤﴾ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ ﴿٥﴾ اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ ﴿٦﴾ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ ﴿٧﴾
(১) বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহি-ম। (২) আলহামদু লিল্লা-হি রাব্বিল আ’-লামি-ন। (৩) আর-রাহমা-নির রাহি-ম। (৪) মা-লিকি ইয়াওমিদ্দি-ন। (৫) ইয়্যা-কা না’বুদু ওয়া ইয়্যা-কা নাসতাই’-ন। (৬) ইহদিনাস সিরা-তা’ল মুসতাকি’-ম। (৭) সিরা-তা’ল্লা যি-না আনআ’মতা আ’লাইহিম। গা’ইরিল মাগ’দু’বি আ’লাইহিম। ওয়ালা দ্দ-ল্লি-ন
(১) পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহ্র নামে। (২) সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য, যিনি সৃষ্টিকুলের রব। (৩) দয়াময়, পরম দয়ালু, পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। (৪) বিচার দিবসের মালিক। (৫) আপনারই আমরা ইবাদাত করি এবং আপনারই নিকট আমরা সাহায্য চাই। (৬) আমাদেরকে সরল পথ দেখান। পথের হিদায়াত দিন। (৭) তাদের পথ, যাদের উপর আপনি অনুগ্রহ করেছেন। যাদেরকে নিয়ামত দিয়েছেন।যাদের উপর (আপনার) ক্রোধ আপতিত হয়নি এবং যারা পথভ্রষ্টও নয়। (সূরা ফাতিহা: ১-৭)
‘আবদুর রহমান ইবনুল আসওয়াদের পিতা আসওয়াদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি ‘আয়েশা (রাঃ)-কে বিষাক্ত প্রাণীর দংশনের কারণে ঝাড়-ফুঁক করার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) সকল প্রকার বিষাক্ত প্রাণীর দংশনে ঝাড়-ফুঁক করার অনুমতি দিয়েছেন।
রেফারেন্স: বুখারীঃ ৫৭৪১
অসুস্থতা, ক্ষত ও ব্যথার দোয়া | রোগ মুক্তির দোয়া বাংলায়
باِسْمِ اللَّهِ تُرْبَةُ أَرْضِنَا بِرِيْقَةِ بَعْضِنَا يُشْفَى (بِهِ) سَقِيْمُنَا بِإِذْنِ رَبِّنَا
বিসমিল্লা-হি। তুরবাতু আরদ্বিনা-, বিরীক্বতি বা’অদ্বিনা-, ইউশফা (বিহী) সাক্বীমুনা, বিইযনি রাব্বিনা-
আল্লাহ্র নামে। আমাদের যমিনের মাটি, আমাদের কারো লালার সাথে, যেন আমাদের অসুস্থ ব্যক্তি সুস্থতা লাভ করে, আমাদের রবের অনুমতিতে।
আয়েশা (রাঃ) বলেন, কারো দেহের কোথাও অসুস্থতা, ব্যাথা বা ক্ষত হলে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁর (শাহাদাত) আঙুল মাটিতে রেখে তা উঠিয়ে এ দোয়াটি পাঠ করতেন। অন্য বর্ণনায় তিনি আঙুলে নিজের মুখের সামান্য লালা লাগিয়ে আঙুলটি মাটিতে রাখতেন এরপর তা ব্যাথার স্থানে রেখে এ দোয়াটি বলতেন।
রেফারেন্স: বুখারীঃ ৫৭৪৫, মুসলিমঃ ২১৯৪
খাওয়ার শুরুতে দোয়া | খাওয়ার দোয়া
بِسْمِ اللَّهِ
বিসমিল্লা-হ
আল্লাহ্র নামে।
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) ছয়জন সাহাবীকে সঙ্গে নিয়ে একটি খাবার খাচ্ছিলেন। এমন সময় এক বেদুইন এসে দু' লুকমায় তা খেয়ে ফেলে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নবী (ﷺ) বলেন, জেনে রাখো, সে যদি (খাওয়ার শুরুতে) বিসমিল্লাহ (আল্লাহ্র নামে) বলতো, তা হলে ওই খাবার তোমাদের সবার জন্য যথেষ্ট হতো। সুতরাং তোমাদের কেউ খাবার খেলে, সে যেন (খাওয়ার শুরুতে) বলে - (উপরে দোয়াটি উল্লেখিত হয়েছে)
রেফারেন্স: তিরমিযী ৪/২৫৪, নং ১৮৫৮
খাওয়ার শুরুতে দোয়া | খাওয়ার সুন্নতসমূহ
আর ‘বিসমিল্লাহ' বলতে ভুলে গেলে, সে যেন বলে -
بِسْمِ اللَّهِ أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ
বিসমিল্লা-হি আওয়ালাহু ওয়া আ-খিরহ্
খাওয়ার শুরু ও শেষ সর্বাবস্থায় আল্লাহ্র নামে।
রেফারেন্স: সহীহ। আবু দাউদঃ ৩৭৬৭
শুরুতে আল্লাহ্র নাম বলতে ভুলে গেলে
بِسْمِ اللَّهِ فِي أَوَّلِهِ وَآخِرِهِ
বিসমিল্লা-হি ফী আউআলিহী ওয়া আ-খিরিহী
আল্লাহ্র নামে এর প্রথমে এবং এর শেষে।
রেফারেন্স: সহীহ। তিরমিযীঃ ১৮৫৮
খাওয়া ও পান করার মাঝের দোয়া | খাওয়ার সময় সালাম
আল্লাহ্ তা‘আলা ঐ ব্যক্তির উপর সন্তুষ্ট হন, যে খাওয়া ও পান করার মাঝে বলে -
اَلْحَمْدُ لِلَّهِ
আলহামদুলিল্লা-হ
সকল প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য।
রেফারেন্স: মুসলিমঃ ২৭৩৪
বিশেষ কৃতজ্ঞতায়ঃ দোয়া ও রুকিয়াহ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD
আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন
COMMENTS