নাস্তিক থেকে আস্তিক হওয়ার গল্প (১)
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাংলা টিভি চ্যানেল টাইম টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি নিজেই তার পরিবর্তনের কথা জানান।
করোনাভাইরাস সংক্রমণে (কোভিড-১৯) প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। সুস্থ হওয়ার পর হাসপাতালে থাকা অবস্থায় একদিন এক নার্স এসে তাকে বললেন যে, মিঃ খান আপনি অসুস্থ অবস্থায় যখন ঘোরের মধ্যে ছিলেন তখন একেবারে জোরে জোরে আবার মাঝে মাঝে বিড়বিড় করে আপনি ধর্মগ্রন্থ কোরঅান থেকে পাঠ করতেন।
নার্স স্পষ্ট বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি কোরআন থেকেই পাঠ করতেন। কারণ কোরঅানের ঐ সূরা গুলো নার্স আগে থেকেই জানতেন। ইনফেক্ট তিনি আরবিও জানতেন। এই বিষয়গুলোই নার্স তাকে জানালেন।
নার্সের মুখে এই কথাগুলো শুনে অবিশ্বাসী তাসের মাহমুদ যেন আকাশ থেকে পড়লো। কারণ গোটা জীবনটাই কেটেছে যার নাস্তিকতা ও সংশয়বাদের অন্ধকারে অজ্ঞান অবস্থায় তার মুখে কোরআন উচ্চারিত হওয়াটা সত্যিই বিস্ময়কর।
তার মনে এই ঘটনাটি গভীর রেখাপাত করলো। এতটাই যে, তিনি নতুন করে ভাবতে বাধ্য হলেন। যার ফলশ্রুতিতে তিনি সীদ্ধান্ত নিয়েই নিলেন গোটা জীবনের এই অর্থহীনতার সমাপ্তি ঘটিয়ে তিনিও বিশ্বাসীদের তালিকায় নাম লেখাবেন। তাই জীবনের শেষলগ্নে পাওয়া সত্যের হাতছানিটুকু তিনি উপেক্ষা করতে পারেন নি।
তাসির মাহমুদ খান এখন পরিপূর্ণ ধার্মিক। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন যেন, বাকী জীবন বিশ্বাসের পথে অবিচল থাকতে পারেন।
আসলে যারা প্রকৃতার্থেই সত্যমনা। সত্যসন্ধানী। সত্য গ্রহণের মনমানসিতা লালন করে। তাদেরকে আল্লাহ কোন না কোন উসিলায় সত্যপথে পরিচালিত করবেন-ই।
সত্যমনা লেখক-
Robiul Islam.
ভিডিওতে তাসের মাহমুদের সাক্ষাৎকার-
উত্তরমুছুনhttps://youtu.be/Eo74Y9CErdk
আলহামদুলিল্লাহ
উত্তরমুছুন