মানুষ আর অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে একটাই পার্থক্য।
'বিবেগ-বুদ্ধি'। এটা যার নেই সে গায়ে-গতরে মানুষ হলেও প্রকৃত পক্ষে নয়। এটা যদি একটি গরু-ছাগল কিংবা অন্য কোন প্রাণীর থাকতো তাহলে তাকেও এই আশরাফুল মাখলুকাতের সারিতে গন্য করতে হতো।
কেন হবে না! তখন তো তারাও সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে উন্নতি সাধন করতো। প্রতিনিয়ত আবিষ্কার করতো অভিনবত্ব। তখন কি আপনি চাইলেও তাদেরকে কিনতে পারতেন? ভক্ষণ তো দূরের কথা। না, তখন তারাও আত্ম বিবেগ-বুদ্ধি খাটিয়ে আদায় করে নিতো নিজেদের অধিকার। কিন্তু না, এই বিশেষত্ব তাদের দেওয়া হয়নি।
মানুষের আছে বলেই মানুষ আজ এখানে।আপনার কী মনে হয়, এত্তো বড় হাতি তার অপার শক্তি নিয়েও আমাদের বশিভূত। খামোখাই!?এমনি এমনি নয়, এই বিবেগ-বুদ্ধির কারিস্মাতেই সব হয়।
এ পার্থক্যের কারণেই সবকিছু মানুষের তাবেদার।
যেন মানুষই একমাত্র উদ্দেশ্য আর বাকি সব তার উছিলায়। হ্যা, ঠিক তাই। মানুষের উছিলায়ই সবকিছুর সৃষ্টি। যার বাস্তবতা আয়নার মতো সচ্ছ।
বিবেগ-বুদ্ধির সবচেয়ে বড় দাবি সে কেবলই অন্যান্য প্রাণীর মতো করে দুনিয়ায় বাঁচবে না। খাও-দাও ঘুমাও আর চাহিদা মেটাও এর সীমাবদ্ধতায় ভুগবে না। ভিন্ন কোয়ালিটি ভিন্ন কিছু দায়িত্বের দিকে ইঙ্গিত করে।
হ্যা, এই কারণেই মানুষকে তার কর্মের জবাবদিহি করতে হবে। অন্যান্য প্রাণীকে নয়। কারণ যাকে উদ্দেশ্য করে এত কিছুর আয়েজন, তাকে উদ্দেশ্য করে কিছু হবে না, তা তো হয় না।
সত্যমনা লেখার- রবিউল ইসলাম।
সত্যমনা ডট কম।
COMMENTS