প্রগতিশীলদের মুখোশ উন্মোচন। (৪)
কোনো নারি অধিকার/মানবাধিকার সংঘটনের ঘুম ভাঙ্গে না। উলটো বোরকা নিকাব নিষিদ্ধ করার জন্য তারা এক্টিভিজম চালান।
শিক্ষিকা স্পষ্ট করে বলেছেন, আমি হিন্দু, টিপ পরা তো স্বাভাবিক ব্যাপার। স্পষ্টতই বর্ণহিন্দুর সংস্কৃতির অনুসঙ্গ লিবারেল সেক্যুলাররা ধারণ করলে সেটা সাম্প্রদায়িক কেন হবে না? টিপ নিয়ে মন্তব্য করা লোকটি যদি 'মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক' হয়ে যান, তাহলে বোরকা, নেকাব নিয়ে বাজে মন্তব্য করা নারী-পুরুষেরা কেন 'সেক্যুলার মৌলবাদী, সেক্যুলার সাম্প্রদায়িক' হবেন না?
আরেকটা গুরুত্ববপূর্ণ ব্যাপার হলো, কেউ কেউ সন্দেহ করছেন ঘটনাটি সাজানো কিনা। যে এলাকায় শিক্ষিকাকে হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে সেই এলাকাটি ট্রাফিকের তেজগাঁও বিভাগের। থানায় দেওয়া অভিযোগের বর্ণনা অনুযায়ী ট্রাফিকের কোনো পুলিশ সদস্য ওই এলাকায় ওই সময় ডিউটি করছিলেন কিনা জানতে চাওয়া হয়েছিল ট্রাফিকের তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার সাহেদ আল মাসুদের কাছে। তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "বিষয়টি অত্যান্ত স্পর্শকাতর। গুরুত্বের সাথে আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, অভিযোগ করা শারীরিক বর্ণনা অনুযায়ী ট্রাফিকের সে রকম কোনো সদস্য সেখানে ডিউটি করছিলেন না। বরং লতা সমাদ্দার কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের পরামর্শেই থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন।"
বোরকা নিয়ে কথা উঠছে ইদানিং। এটাকে থামাতে টিপের রাজনীতি দরকার নাকি?
লেখক, ডা. রাফান আহমেদ।
COMMENTS