ভাই আমার একটা প্রশ্ন ছিল । এক নাস্তিক বলেছে কুরআন যদি আল্লাহর বাণী হয় তাহলে আল্লাহ কুরআনে নিজেকে আল্লাহ বলেছেন কেন ? যেমন সূরা আল ইমরান এর ১৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে যে "নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে একমাত্র গ্ৰহনযোগ্য দ্বীন ইসলাম" যেহেতু কুরআন আল্লাহর বাণী তাই এটা হওয়া উচিত- নিশ্চিয়ই আমার কাছে একমাত্র গ্ৰহনযোগ্য দ্বীন ইসলাম। এমনটা হলো না কেন?
ভাই এটা আসলে কোন ভুল বা ত্রুটি নয়। আপনি ব্যকরণ পড়লে জানতে পারবেন। এগুলো হচ্ছে বাক্যের বিভিন্ন ব্যবহার পদ্ধতি। যার মধ্যে থাকে সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম বিষয়। যা বক্তব্যকে সুন্দর ও অর্থবহ করে তুলে।
শুধু কোরআন নয় আপনি বিভিন্ন সাহিত্য বইতে এমন ব্যবহার দেখতে পাবেন। এটা কোন ত্রুটি নয়। বরং মাধুর্য। এই ব্যবহারকে আরবি ব্যকরণে বলা ইলতিফাত। বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বাক্যে ইলতিফাত করা হয়।
উক্ত আয়াতে সরাসরি 'আমি' না এনে 'আল্লাহ' শব্দটি বলে বাক্যের ওজন আরও বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বাক্যকে আরও অর্থবহ করে তোলা হয়েছে।
উদাহরণ সরূপ- বাংলাদেশের প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা আপনাকে বলছে: 'তুমি এই কাজটি কর, কারণ আমি তোমাকে আদেশ করছি।'
এখানে 'আমি তোমাকে আদেশ করছি' এর যায়গায় 'বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তোমাকে আদেশ করছে।' বললে একই কথার ওজন কতটা বেড়ে যায় ভাবুন তো!
সাথে এটাও ভাবুন যে, কোরআনের এমন একটা অনুপম ভাষা শৈলিকে অজ্ঞতার কারণে আপনি ত্রুটি সাব্যস্ত করেছিলেন। এজন্যই আল্লাহ তায়ালা বলেছেন: فاساُل اهل الذكر إن كنتم لاتعلمون" (যদি না জেনে থাক তাহলে যারা জানে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করে জেনে নাও।)
তবুও না জেনে কিংবা ভুল ইনফরমেশন নিয়ে নিজের পায়ে কুড়াল মের না।
সত্যমনা লেখক, রবিউল ইসলাম।
সত্যমনা ডট কম।
মাশাআল্লাহ ভাই
উত্তরমুছুনজাজাকাল্লাহ খাইরান আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ।
উত্তরমুছুনমাশাআল্লাহ ভাই, অনেক সুন্দর উত্তর
উত্তরমুছুন