ইসলাম বিদ্বেষী পাঠ্যপুস্তকে কী আছে কী নেই? (১১)
'ধর্ম যার যার উৎসব সবার' এটি একটি শিরকী মতবাদ। যে ব্যক্তি বুঝেশুনে এই মতবাদে বিশ্বাসী হবে অথবা বুঝেশুনে অন্য ধর্মীয় উৎসবে অংশগ্রহণ করবে সে শিরিকে লিপ্ত হবে।
অনুরূপ ভাবে যদি কোন মুসলিম খ্রিস্টান কিংবা বৌদ্ধদের ধর্মীয় উৎসবে অংশগ্রহণ করে তাহলে সেও শিরকী কাজে লিপ্ত হলো।
আপনার আমার সন্তানকে এই শিরকী মতবাদ গেলানো হচ্ছে, ছলে-বলে-কৌশলে গল্পের মাধ্যমে শিখানো হচ্ছে। অসাম্প্রদায়িকতার বুলি আউড়িয়ে 'ধর্ম যার যার উৎসব সবার' এর বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। উক্ত মতবাদের অসারতা নিয়ে আমার লেখাটি পড়তে পারেন। shorturl.at/pquDN
ষষ্ঠ শ্রেণীর ইংরেজি বইতে (four friends) 'চার বন্ধু' নামের একটা গল্প আছে যার লেখক স্বয়ং জাফর ইকবাল। গল্পের সারসংক্ষেপটা এমন;
English class 6 . p: 140 |
সাদিব, নন্দিনী, অ্যান্টনি, মাইকেল এরা চার বন্ধু চার ধর্মের। সাদিব তার ধর্মীয় উৎসব ঈদে খুব আনন্দ করলো। সাথে আনন্দ করলো তার হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান বন্ধুরাও। এরপর নন্দিনী তার মাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করল সাদিবের মত তাদের কি কোন ধর্মীয় উৎসব নেই? জবাবে মা বলল; আছে তো পূজা। পূজাই আমাদের ধর্মীয় উৎসব। নন্দিনী জিজ্ঞেস করল আমি কি আমার বন্ধুদের পূজায় নিমন্ত্রণ করতে পারব? তার মা বলল; অবশ্যই পারবে। এরপর নন্দিনীর তিন বন্ধু তার ধর্মীয় উৎসব পূজাতে অংশগ্রহণ করে খুব মজা করল। এভাবে চার বন্ধুই সকলের ধর্মীয় উৎসবে অংশগ্রহণ করে বেশ আনন্দ পেল এবং বলতে লাগল আমরা পৃথিবীর অন্য সবার চেয়ে বেশি সুখী। কেননা আমরা সকলের ধর্মীয় উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারি। যাদের আমাদের মত বন্ধু নেই তারা শুধু একবার মজা করে হয়তো কেউ শুধুমাত্র ঈদে মজা করে অথবা কেউ শুধুমাত্র পূজায় মজা করে। অথচ আমরা ঈদ, পূজা, বড়দিন, বুদ্ধ পূর্ণিমা সব উৎসবে মজা করি। সুতরাং আমরাই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী।
গল্পের ছলে খুব কৌশলে আমাদের সন্তানদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হলো তুমি মুসলিম বলে কি হয়েছে তুমি নিঃসংকোচে মূর্তিপূজা, বড়দিন ও বুদ্ধ পূর্ণিমায় অংশগ্রহণ করতে পারো, যদি না করো তাহলে তুমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ হতে পারলে না। এই হলো আমাদের পাঠ্যপুস্তক এর অবস্থা! পাঠ্যপুস্তক এর মাধ্যমে আজ মুসলিম সন্তানদেরকে মূর্তিপূজায় উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এখনও যদি আমরা লাগাম না ধরি তাহলে তা হাতছাড়া হয়ে যাবে।
রবিউল ইসলাম।
লেখক ও গবেষক, সত্যমনা ব্লগ।
COMMENTS