লাড্ডু নাস্তিক ইমরান বিন বশির | পর্ব: ০১
লেখাপড়া না করে গণ্ডমূর্খ ইমরান পরীক্ষায় 'লাড্ডু' মেরেছে । 'লাড্ডু ইমরান' এখন নাস্তিকদের বড় হুজুর৷ চলুন নাস্তিকদের বড় হুজুর লাড্ডু ইমরানের লেখাপড়ার ইতিহাস জেনে আসি। লিখেছেন তার সহপাঠী মুফতি আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ ওমায়ের।
কুলাঙ্গার শাতিম ও নাস্তিক ইমরান বিন বশির। দুর্ভাগ্যবশতঃ সে আমার ছয় বছরের সহপাঠী। খুব কাছ থেকে তাকে আমি চিনি। কাফিয়া জামাত থেকে সে আমার সহপাঠী।
সে একটি লাইভে দাবী করেছে সে নাকি মুমতায মানের ছাত্র ছিলো। কিন্তু পোস্টের নীচে সংযুক্ত তার বেফাক বোর্ডের রেজাল্টশীট দেখলেই বুঝতে পারবেন সে কোন লেভেলের আওয়ারা ছিলো। এটি তার শরহে বেকায়া জামাতের বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল। সে মোট চারটি বিষয়ে অংশ গ্রহণ করে তার মধ্যে দুটিতে শূন্য আর বাকি দুটিতে যথাক্রমে, ৪৬ ও ৭৮ পেয়েছে। আর বাকি পরীক্ষাগুলোতে কৃতকার্য হওয়া তো দূর কী বাত! সে অংশগ্রহণই করেনি।
একটি লাইভে সে বলেছে: “ছাত্র যামানায় সে ভালো করে পড়েনি শুধু পরীক্ষার সময় একটু আধটু পড়েছে। ফারেগ হওয়ার পর থেকে সে আবার ভালোভাবে পড়া শুরু করেছে।" অপরাংশে আবার সে নিজেই বলেছে: "সে নাকি মুমতায মানের ছাত্র ছিলো।" এবার বুঝুন এ মালঊন কত্ত বড় দাগাবাজ!
স্বভাবতঃ সে ভদ্রতার খোলসে খুবই ধূর্ত ও উগ্র মেজাজের ছিলো। ব্যক্তিগতভাবে আমিও একবার তার উগ্রতার শিকার হয়েছিলাম। যা আমার সহপাঠীদেরও অনেকে জানে।
ছাত্র যামানা থেকেই সে মাযহাবসহ ধর্মীয় নানাবিধ বিষয়ে উদ্ভট মন্তব্য করতো। শুরুর দিকে সে জাকির নায়েকের চরম ভক্ত ছিলো। তখনও একাধিকবার তার সাথে তর্ক হয়। কিন্তু এটাকে তার জ্ঞানহীনতা বা মূর্খতা ভেবে এড়িয়ে যাই।
তার প্রথম বই "স্বর্গপরী'তেও সে তার বন্ধুদের তালিকায় আমার নাম উল্লেখ করেছে। তার কারণ আমি তখন টুকটাক লেখালেখির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। তাই প্রায়শই তার সাথে সাহিত্য বা লেখালেখির বিষয়ে আলাপ হতো। একদিনের আলাপচারিতায় সে বলে, তার জীবনে আসা একটি মেয়েকে নিয়ে সে একটি গল্পের বই লিখবে এবং বইটির গল্প তার নিজের বাস্তব জীবন কেন্দ্রিক হবে।
এরপর একসময় ঐ মেয়েলি ট্রাজেডির শিকার হয়ে তার জীবন পরিপূর্ণভাবে এলোমেলো হয়ে গেলো। দীর্ঘদিন সে মাদরাসা থেকে লাপাত্তা হয়ে থাকলো। হঠাৎ কোনো এক শুক্রবার সে একটি পান্ডুলিপি হাতে মাদরাসায় উপস্থিত হয়। তার ঘনিষ্ঠ কিছু সাথী-বন্ধুদেরকে সেই পান্ডুলিপিটি দেখায় সাথে আমাকেও দেখায় এবং আমাকে বলে এটা তার জীবনের সেই কাঙ্ক্ষিত প্রেমকাহিনী। তবে গল্পের প্রয়োজনে কিছুটা কাটছাঁট হয়েছে।
পাণ্ডুলিপিটি আংশিক পড়ার পর এটাতে আমি শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে বেশকিছু ত্রুটি দেখতে পাই। আমি বইটির শরয়ী সম্পাদনা করার পরামর্শ দেই। সে আমাকে বললো এটা মাত্র প্রথম সংস্করণ; এটাকে আরো পরিমার্জন ও পরিবর্ধন করবে। কিন্তু আমাকে অবাক করে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সে আগের সংস্করণের অখাদ্যটিকেই ছেপে নিয়ে আসে।
এরপর দীর্ঘদিন তার সাথে আমার তেমন কোনো যোগাযোগ ছিলোনা। এর মধ্যে সে আরেকটি বই লেখে সেটিও ছিলো প্রেম-ভালোবাসা কেন্দ্রিক।
তার শুরুর দুইটা বই-ই অবৈধ প্রেম-ভালোবাসা ও নারী লিপ্সার সুড়সুড়িমূলক উপন্যাস। এসব কিছুর পর এ লুচ্চা চরিত্রহীন, নপুংসুক ইমরান আমাদের প্রিয় নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বৈধ ও আদর্শ পারিবারিক জীবন নিয়ে কুৎসা রটায়। লা'নাতুল্লাহি আলায যলিমীন।
আমার প্রশ্ন হলো: যার পুরো জীবনের গবেষণার ফল, অবৈধ প্রেমপ্রীতি ও নারী লিপ্সা নিয়ে লেখা দু'টো উপন্যাস; সে ধর্মীয় গভীর জ্ঞান লাভের সুযোগটা পেলো কখন?
মাক্কী মাদানী যিন্দেগীতে নিষ্ঠুর কাফেরদের কর্তৃক রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামের উপর ইতিহাসের যে বর্বর ও ভয়াবহ জুলুম নির্যাতন হয়েছে সেগুলোকে বিন্দুমাত্র আলোচনায় না এনে আল্লাহর নির্দেশে ওই বর্বর নিষ্ঠুরদেরকে হত্যার মাধ্যমে পৃথিবীতে ন্যায় ও ইনসাফের যে সুশীতল ছায়াবীথির বীজ বপন হয়েছে সেটাকে সে অন্যায় ও নিষ্ঠুরতা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। কত বড় অথর্ব সে!
কুখ্যাত মুরতাদ মাসউদ লাইভে নিজেই বলেছে ইমরানের সাথে তার দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সম্পর্ক এবং ইমরান তার পরামর্শেই চলে আর সে মিশনেরই অংশ হিসেবে ইমরান প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাদাসিধা সাধারণ ইমাম সাহেবদেরকে এবং পার্কে ঘুরতে আসা সাধারণ মা-বোনদের ধরে ধরে ধর্মীয় বিভিন্ন জটিল প্রশ্ন করে ভিডিও ধারণ করে এটাকেই সে তার রেফারেন্স হিসেবে পেশ করে ধর্মীয় এ বিষয়গুলোর উত্তর কেউই জানেনা। তাই বিষয়গুলো সব অযৌক্তিক। নাউজুবিল্লাহ!
এখানে সে কুকৌশলে দুটি মিশন বাস্তবায়ন করছে:
এক.
ধর্মীয় গভীর জ্ঞান না রাখা মানুষদের জটিল প্রশ্ন করে হেয় করা এবং তাদের মনে ইসলাম সম্পর্কে গভীর সংশয়
তৈরি করা।
দুই.
এগুলোকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে তার ভিডিওর সাধারণ দর্শকদের মাঝে ইসলাম সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব ও সংশয়ের বীজ বপন করা।
এ পর্যন্ত যতজন মানুষের সাথে ইমরান এ বিষয়ে কথা বলেছে কারো কাছ থেকেই সে সমাধান নেয়ার জন্য প্রশ্ন করেনি। ব্যক্তিগতভাবে যত জনের সঙ্গে আলাপ হয়েছে সবার একই অনুভূতি। সে এক প্রসঙ্গে কথা বলে যখন পর্যুদস্ত হয় তখন অন্য বিষয় টেনে পাশ কেটে যায়। তার প্রশ্নগুলো শুনলেও বোঝা যায়, দ্বীনের ব্যাপারে তার জ্ঞান একেবারেই শূন্যের কোঠায়!
ইমরানদের মত নাস্তিকদের অবস্থা দেখলে প্রকৃত ঈমানদারের ঈমান আরো সুদৃঢ় হয়। হেদায়েত ও ঈমানের তাওফিক যে একমাত্র আল্লাহ রব্বুল আলামীন প্রদত্ত এটা আরো বেশি স্পষ্ট হয়। মহান রব্বুল আলামীন কুরআনে ইরশাদ করেন:
يُضِلُّ مَنْ يَشَاءُ وَيَهْدِي مَنْ يَشَاءُ [النحل:93].
তিনি (আল্লাহ তায়া’লা) যাকে চান তাকে পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে চান তাকে হেদায়েত দান করেন। সূরা নাহল, আয়াত: ৯৩
উসূলুল ফিকহে যে কিনা শূন্য পায়, সে যে ইসলামকে কতোটা বুঝেছে তা আর আলাদা করে বলা লাগবে না। ফিকহের পরীক্ষায় যে অংশই নেয় না, সে যে কোন লেভেলের গণ্ডমূর্খ, তা আর বোঝানো লাগবে না। ইনশা বিষয়ের পরীক্ষায় যে অংশই নেয়নি, আমার আর বুঝতে বাকি নেই, সে মাদ্রাসায় আরবি কিতাব না পড়ে কিতাবের অনুবাদ বা নোট মুখস্থ করে করে ক্লাস টপকিয়েছে।
উত্তরমুছুনএতদিন বুঝতাম না, হাদীসের শরাহ না দেখেই কীভাবে হাদীসের ব্যাপারে সে এরকম অযৌক্তিক কথাবার্তা বলতে পারে! এখন এর গোপন রহস্য আমার কাছে ভেদ হলো।
ইমরান কেবল শুরু। এরকম শত শত, হাজার হাজার মুক্তমনা, নাস্তিক , সংশয়বাদী আলেম সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, যারা নিজ এবং পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে পরিচয় প্রকাশ করে না। ইসলামের শেষের শুরু হয়ে গেছে, এখন আর হত্যা আর তরবারি দিয়ে মুখ বন্ধ করা যাবে না, এখন ইন্টারনেটের যুগ। আসিফ মহিউদ্দিন, আসাদ নূর, মুফতি মাসুদ এবং হালের ইমরান যা শুরু করেছে, সেই আন্দোলন কেবল বাড়বেই।
উত্তরমুছুনউনার প্রশ্নের উত্তর আগে দাও তোমরা ভাইয়া।
উত্তরমুছুনতার সকল প্রশ্নের উত্তর আরো বহু আগেই দেয়া হয়েছে। এগুলো তো নাস্তিকতার প্রাইমারি লেভেলের প্রশ্ন এর চেয়েও আরো জটিল জটিল বিষয়গুলোর উত্তরও আরো বহু আগেই মনীষীগণ দিয়ে এসেছেন। ইমরানের জ্ঞানের পরিধি কম দেখেই তার কাছে বিষয়গুলো মাত্র এসেছে। শতশত বছর আগের মীমাংসিত বিষয় মাত্র তার সামনে আসছে। যা খুবই হাস্যকর!
মুছুনতার প্রশ্নের উত্তর দেন, লাইভে এসে।কে সত্য কে মিথ্যা দেখা যাবে। আপনাদের সাহস নাই, লাইভ করার আবার বড় বড় কথা বলেন।
উত্তরমুছুনতাকে আহ্বান কৰা হয়েছে সত্যমনা পেজ থেকে। এ আবার ঈদের পরে বসবে। অথচ যেহেতু সে জানতে চাইলো , তাৰ তো উচিত ছিল সাথে সাথেই লাইভে বসা । কিন্ত আসলে সে বাটপাৰ। যে নাস্তিক দের পুরনো প্ৰশ্ন সামনে নিয়ে এসেছে যাৰ উত্তৰ আলেমৰা আগেই দিয়ে এসেছে। আসলে সে চৰম মূৰ্খতা নিয়ে বসে। তাৰ ৰেজাল্ট শীট দেখলেই বুঝবেন সে কত মূৰ্খ।
উত্তরমুছুনilmul kalam er koeta kitab porece?? Prosno kore dekhen
উত্তরমুছুন